প্রকাশিত: ১৬/০৩/২০১৭ ১০:৫৭ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::

কক্সবাজারে দ্বিতীয় দফার রোহিঙ্গাশুমারি শেষ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, দ্বিতীয় দফায় প্রায় ৯০ হাজার রোহিঙ্গা তালিকাভুক্ত হয়েছে।গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া, সদর, রামু ও চকরিয়া উপজেলায় রোহিঙ্গাশুমারি শুরু করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০০টি তথ্য সংগ্রহকারী দল। ১২ মার্চ সন্ধ্যায় রোহিঙ্গাশুমারির কাজ শেষ হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিসংখ্যান ব্যুরোর সূত্রমতে, দ্বিতীয় দফার শুমারিতে প্রায় ৯০ হাজার রোহিঙ্গাকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৮৬ হাজার মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সম্প্রতি পালিয়ে আসা। অন্যরা কয়েক বছর আগে এসেছে।
বিবিএস সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ২ থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত প্রথম দফায় রোহিঙ্গাশুমারি করা হয়। ওই শুমারির ফলাফল এখনো প্রকাশ করা হয়নি। ওই সময় যেসব রোহিঙ্গা বাদ পড়েছিল, দ্বিতীয় দফার শুমারিতে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর কক্সবাজারের উপপরিচালক মো. ওয়াহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘১২ মার্চ সন্ধ্যায় দ্বিতীয় দফার রোহিঙ্গাশুমারি শেষ হয়েছে। এখন তথ্য সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে মালামাল (ফরম ও ছবি তোলার মুঠোফোন) বুঝে নিচ্ছি। এরপর সেই মালামাল ঢাকায় পাঠানো হবে। সেখানে তালিকা তৈরি করা হবে। তারপর রোহিঙ্গাদের ওই তালিকা আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) কাছে জমা দেওয়া হবে। আইওএম তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের পরিচয়পত্র দেবে। ওই পরিচয়পত্র নিয়ে রোহিঙ্গারা ঘোরাফেরা করার সুযোগ পাবে।’ তিনি বলেন, প্রতিদিন মিয়ানমার থেকে চার-পাঁচটি করে পরিবার উখিয়া ও টেকনাফে পালিয়ে আসছে। নতুন আসা রোহিঙ্গাদেরও তালিকাভুক্ত করা হবে। এ ব্যাপারে উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গাশিবিরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার লোকজন ও রোহিঙ্গা নেতাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে।
মো. ওয়াহিদুর রহমান বলেন, আইওএম কর্তৃপক্ষ বিবিএসকে জানিয়েছিল, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সদ্য পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় ৭৩ হাজার। কিন্তু গণনা করে তারও বেশি রোহিঙ্গা পাওয়া গেছে। তবে তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গার সংখ্যা কত, তা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।
উখিয়ার কুতুপালং অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাশিবির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবু সিদ্দিক বলেন, এই শিবিরে নতুন-পুরোনো মিলিয়ে অবস্থান করছে অন্তত ৯৭ হাজার রোহিঙ্গা। এর মধ্যে দ্বিতীয় দফার শুমারিতে তালিকাভুক্ত হয়েছে প্রায় ৪১ হাজার। এর মধ্যে ৯৮ শতাংশ রোহিঙ্গা সদ্য পালিয়ে এসেছে।
টেকনাফের লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাশিবির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি দুদু মিয়া বলেন, এই শিবিরে নতুন-পুরোনো মিলিয়ে প্রায় ৮৫ হাজার রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। এর মধ্যে গত ১৩ দিনের শুমারিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে প্রায় ৩৮ হাজার রোহিঙ্গা, যার ৯৮ শতাংশই সম্প্রতি এসেছে।
তথ্য সংগ্রকারী কামাল উদ্দিন বলেন, শুমারির সময় নির্দিষ্ট ফরমে রোহিঙ্গাদের অবস্থানের বর্তমান ঠিকানা, সদস্যসংখ্যা ও নাম লিপিবদ্ধ করা হয়। এ ছাড়া তোলা হয় ছবিও। এরপর রোহিঙ্গাদের শুমারির অন্তর্ভুক্তি স্লিপ দেওয়া হয়; যে স্লিপ জমা দিয়ে পরে তারা পরিচয়পত্র পাবে।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়োগ, পরীক্ষায় অনুপস্থিত থেকেও উত্তীর্ণ!

কক্সবাজারে স্বাস্থ্য সহকারীসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষাকে ঘিরে গুরুতর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষা ...

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যশোরে ৮.৮ ডিগ্রি, টেকনাফে সর্বোচ্চ ৩১

শীতের তীব্রতা বাড়ায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে হাড়কাঁপানো ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে দেশের ...

১৩ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন জালিয়াতি, ইউপি উদ্যোক্তার স্বামী কারাগারে

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের ভুয়া সিল–স্বাক্ষর ব্যবহার করে ১৩ জন রোহিঙ্গা নাগরিকের জন্মনিবন্ধন তৈরির ...